প্রকাশিত: ১১/১০/২০১৭ ৮:৫৯ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১২:২৩ পিএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
স্ত্রীর বয়স যদি ১৮ বছরের কম হয়, তার সঙ্গে যৌন মিলনও হবে ‘ধর্ষণ’ এবং সেই হিসেবে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত এক রায়ে এ কথা বলেছে।

ফৌজদারি দণ্ডবিধিতে ধর্ষণের সাজার ক্ষেত্রে একটি ধারার বৈধতা নিয়ে এক মামলায় বুধবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দেয় বলে এনডিটিভির খবর।

ভারতের আইনে বাল্যবিয়ে নিষিদ্ধ। মেয়েদের বয়স ১৮ ও ছেলেদের ২১ না হলে ভারতীয় আইনে বিয়ে বৈধতা পায় না।

ফৌজদারি দণ্ডবিধিতে ১৮ বছরের কম বয়সী কোনো মেয়ের সঙ্গে যে কোনো ধরনের যৌন সম্পর্ক শাস্তিযোগ্য অপরাধ বিবেচনা করা হলেও সেই মেয়ে কারও স্ত্রী হয়ে থাকলে এবং তার বয়স ১৫ বছরের বেশি হলে স্বামীর ক্ষেত্রে আইনে ছাড় দেয়া হয়েছে।

আইনে ছাড় দেয়ার ওই বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল ভারতের মানবাধিকার সংগঠন ইনডিপেনডেন্ট থট। তাদের আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বুধবার সুপ্রিম কোর্ট রায় ঘোষণা করে।

সেখানে বলা হয়, ধর্ষণের আইনে ওই ছাড় দেয়া বৈষম্যমূলক, মেয়ে শিশুদের জন্য শারীরিকভাবে মর্যাদাহানীকর এবং অসাংবিধানিক। এ ধরনের ক্ষেত্রে অপ্রাপ্তবয়স্ক ওই স্ত্রী এক বছরের মধ্যে আদালতে অভিযোগ জানাতে পারবে।

সরকার এ মামলার শুনানিতে যুক্তি দিয়েছিল, বিয়ের বয়স নিয়ে আইন থাকলেও ভারতে বাল্যবিয়ে একটি বাস্তবতা এবং যাদের বিয়ে হয়ে গেছে, সেটা রক্ষা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

আদালত সরকারের ওই যুক্তি প্রত্যাখ্যান করে বাল্যবিয়ে বন্ধে আরও উদ্যোগী হওয়ার তাগিদ দিয়েছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, এই রায়ের মধ্যে দিয়ে ভারতের ২ কোটি ৩০ লাখ বালিকা বধূর অধিকারের প্রশ্নেই সায় দিল আদালত।

ভারতের জাতীয় স্বাস্থ্য জরিপ অনুযায়ী, বর্তমানে দেশটির ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে যারা বিবাহিত, তাদের ৪৬ শতাংশের বিয়ে হয়েছে ১৮ বছর হওয়ার আগেই।

তবে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে বলেছে, তাদের এই রায় কোনোভাবেই বৈবাহিক ধর্ষণের (স্ত্রীর সঙ্গে বলপূর্বক যৌনমিলন) সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।

পাঠকের মতামত